বিটরুট এমন একটি সবজি যা মোটামোটি সারা বছরই পাওয়া যায়। এ বছর প্রচুর পরিমাণে বিটরুটের ফলন হয়েছে। তবে ফলন অনুযায়ী ক্রেতা তুলনামূলক কম। সবজিটা গাজরের মতই অনেকে সালাদ এবং জুস আকারে খেয়ে থাকে। তবে এটি ত্বক ও চুলের যে ব্যবহার করা হয় আমরা অনেকেই সেটা জানেন না। এছাড়াও বিটরুটের রয়েছে নানা গুণাগুণ।
রূপচর্চায় বিটরুট: ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে বিটরুট। কম সময়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ,যেমন– ব্রণ, কালচে দাগ, পোড়া দাগসহ ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে,বিটরুট ব্যবহারের জুরি নেই।
• বিটরুটে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে কোষের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে যে কোনো ধরনের দাগ মিশে যেতে সময় লাগে না। ত্বকের কালচে দাগও দূর করে থাকে বিটরুট।
• ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে বিটরুটের কোনো বিকল্প হয় না ,এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিটরুটের রস অল্প করে ঠোঁটে লাগিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। দেখবেন ঠোঁট হবে তুলতুলে ও গোলাপি।
• সাধারনত যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারাই বেশি ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ত্বকের যত্নে যদি বিটরুটকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দ্রুত সারাতে পারবেন ব্রণ। বিটরুটে আছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি–মাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের মেরে ফেলে। এ সমস্যার সমাধানে করতে সমপরিমাণ বিটরুটের জুস ও টমেটোর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে যেতেই তা ধুয়ে ফেলুন।
• বিটরুটের রস দিয়ে চুল ধোয়া যায়, যেটি আমাদের স্ক্যাল্পের ভেতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে হেয়ারফলের মাত্রা তো কমেই, এ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কালার করতেও ব্যবহার করতে পারেন বিটরুট।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ