নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের মধ্যদিয়ে এক যুগ পর ফাঁকা হয়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির চেয়ারটি। এর কিছুক্ষণ পরই নতুন সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আগামী বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা ছিল নাজমুল হাসানের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তার আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
১৯৮৮ সালের ২৯ অক্টোবর এশিয়া কাপ টুর্নামন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে তার অভিষেক ঘটে। ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার ছিলেন ফারুক আহমেদ। ছিলেন ডানহাতি অফব্রেক বোলারও। ১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে তিনি ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ভারতের বিরুদ্ধে। এ খেলায় তৃতীয় উইকেট জুটিতে আতহার আলী খানের সঙ্গে ১০৮ রান করেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সফল ছিলেন ফারুক আহমেদ। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩–৯৪ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয় তাকে। তিনি ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের সবশেষ ম্যাচ খেলেন তিনি ১৯৯৯ সালের ২৭ মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ খেলোয়াড় জীবন শেষে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালদের মতো কিছু তরুণের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা দেখে তাদের জায়গা করে দেন জাতীয় দলে।
এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালে তিনি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান। কিন্তু বিসিবির দ্বি–স্তরের নির্বাচক কমিটি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১৬ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের ইতিহাসও বটে।
তার অধীনে ২০১৫ বিশ্বকাপে সাফল্যের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সিরিজ জয় হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বোর্ডে দেখা যায় বিশৃঙ্খলা, কাজের মধ্যে হস্তক্ষেপ শুরু হয়। সিস্টেমেও গলদ দেখা দেয়, শুরু হয় বোর্ড কর্তাদের হস্তক্ষেপ। ২০১৬ সালে দায়িত্ব ছাড়ার পর এসব অনিয়মের কথা বিভিন্ন সময় জানিয়েছিলেন স্পষ্টভাষী ফারুক আহমেদ।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ