সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সারাদেশে চলছে সমালোচনা। দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে হঠাৎই আলোচনায় আসে সংগীত–অভিনয়শিল্পী তাহসান খানের নাম।
কেননা তার মা ড. জিনাতুন নেসার পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিসিএসে তাহসান প্রথম হয়েছেন–এমন দাবিও করা হয়েছে।
গত দুদিন ধরে তাই এই শিল্পীকে নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এই তারকা।
তাহসান বলেন, ‘পুরো বিষয়টিই ভুয়া। আমি কখনোই বিসিএস পরীক্ষায় বসিনি। সুতরাং ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হওয়ার তো প্রশ্ন আসে না।’
বিসিএস ও বিভিন্ন সরকারি চাকরি পরীক্ষায় একটি চক্র প্রশ্নফাঁস করে আসছে, সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশের পর গ্রেপ্তার হয়েছে পিএসসির কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ ১৭ জন। যার মধ্যে একজন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক ছিলেন অভিযুক্ত সৈয়দ আবেদ আলী।
সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁরও গাড়িচালক ছিলেন তিনি। ড. জিনাতুন নেসার সময়ও হয়েছিল প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা।
মায়ের নাম জড়ানোতে এই তারকা বলেন, ‘এখানে একটা ভুল হচ্ছে। এই ড্রাইভার অফিসের অন্যান্য ড্রাইভারদের মতোই একজন। তিনি আমার মায়ের ড্রাইভার নন।’
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিউমার স্ক্যানার গ্রুপেও উঠে এসেছে যে, বিষয়টিই অসত্য। তারা জানাচ্ছে, ২৪তম বিসিএসে ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়।
সেখানে বলা হয়েছে, মূলত ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৪তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৩ মার্চ পরীক্ষাটি বাতিল করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। পরবর্তী সময়ে পুনরায় ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়।
অর্থাৎ, যে বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরই বাতিল হয়, তাই সেই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাছাড়া ২৪তম বিসিএসে ভাইবা একবারই হয়েছিল। যার কারণে পুনরায় ভাইবায় অংশগ্রহণের দাবিটিও অমূলক।