বিষয় জটিলতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের প্রায় চারশতাধিক শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দুটি ব্যাচ স্নাতক শেষ করলেও এ বিষয় কোড নিয়ে কোথাও চাকরির আবেদন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে শিক্ষার্থীরা।
ফলে বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবী নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি।
তবে তাদের চাহিদা মোতাবেক পরিবর্তনের বিষয়টির পড়াশোনার মান আর বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) একই রকম হওয়ায় বিষয় পরিবর্তন করা অযৌক্তিক বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
বর্তমানে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। ইতোমধ্যে অনার্স শেষ করেছে ১২০ জন শিক্ষার্থী। স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হলেও চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছে না বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী।
এদিকে গত দুই মাস ধরে ফাঁকা পড়ে আছে নোবিপ্রবির বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ক্লাস রুম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আসলেও কখনও শহীদ মিনারে আবার কখনও প্রশাসনিক ভবনের সামনে নিচ্ছে অবস্থান। বিভাগের নাম অপরিবর্তীত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিগ্রি নিশ্চিত করতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএমএস নামে কোনো বিভাগ নেই। ২০১৭ সালে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. অহিদুজ্জামানের তদবিরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগের অনুমোদন করা হয়। বিভাগে ১২জন শিক্ষক থাকলেও কারও এ বিষয়ে কোনো ডিগ্রি নেই। তাদের মধ্যে একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, একজন জেন্ডার স্টাডিজ এবং অন্যদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেউ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। তাই ডিগ্রি পরিবর্তনের যৌক্তিকতাও ঢের।
অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবী যৌক্তিক উল্লেখ করে ডিগ্রির নাম পরিবর্তনের জন্য বিএমএস বিভাগ ও একাডেমিক কাউন্সিলের গঠিত দুটি কমিটি রেজিষ্ট্রার শাখায় সুপারিশ করেছে বলে জানান বিভাগীয় চেয়ারম্যান। যদিও সুপারিশ দুটি বাদ দিয়ে ইউজিসিতে পাঠানো হয় ভুল চিঠি। তবে তা সংশোধন করে পুনরায় ইউজিসিতে চিঠি পাঠানোর কথা বলছে নোবিপ্রবি রেজিষ্ট্রার।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ