ব্যাংকখাতের ঋণখেলাপীর চেয়ে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপীর হার প্রায় তিন গুণ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির দুর্বলতার কারণে ভেঙে পড়ছে দেশের এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, এমন অভিযোগ বিশ্লেষকদের।
মুদ্রানীতি ‘ননব্যাংকিং‘ খাতে আসা উচিৎ বলেও মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ৩ মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৯৬ কোটি টাকা বা শতকরা প্রায় ৩ ভাগ বেড়েছে। ফলে এই খাতে জুনের শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের ননব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শতকরা ৮০ ভাগই দুর্বল। সুশাসনের ঘাটতির কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ডিরেক্টরস ও অসাধু ব্যক্তিরা জড়িয়ে পড়েছে অনিয়মে। নামে–বেনামে ঋণ, ঋণের লিমিট ক্রস ও ঋণ আদায়ে ব্যর্থতা ডুবিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানকে।ব্যাংকখাতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি খেলাপি ঋণ এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের।
যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৮০ শতাংশের বেশি, তা হলো পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড ও ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
এর মধ্যে প্রথম চারটি প্রতিষ্ঠানে মালিকানা আছে পি কে হালদারের। বিশ্লেষকেরা বলছেন, গ্রাহকদের অরক্ষিত রেখেও টনক নড়ছে না অভিভাবক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
যেসব ননব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি দুর্বল, সেগুলো এড়িয়ে চলতে, আমানতকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ