ইউরোপের শীতপ্রধান দেশ ফিনল্যান্ড। ছবির মতো সুন্দর নরডিক অঞ্চলের দেশটি। গোছানো শহর। পরিচ্ছন্ন সড়ক, রঙিন বাড়িঘর। গাছগাছালি, ঝরনা, নদী, পাহাড়, স্বচ্ছ পানির জলাধার, কী নেই সেখানে। টানা ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ফিনল্যান্ড।
ফিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৫ লাখ। এরমধ্যে রাজধানী হেলসিঙ্কিতে বাস করেন দুই লাখের বেশি মানুষ, যাদের বেশীরভাগই অভিবাসী। দেশের বাসিন্দারা বই পড়তে খুব ভালোবাসেন। তাই দেশজুড়ে দেড় হাজারেরও বেশি লাইব্রেরি রয়েছে।
এদেশে কাজের চেয়ে পরিবারকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। সেখানে আছে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। অপরাধ ও দূষণের মাত্রা কম। আর দুর্নীতি প্রায় নেই বললেই চলে।
বর্তমানে সবচেয়ে সুখী দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী সানা মারিন। তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সরকারপ্রধান। সানা মারিন জানান, তার দেশ দৃঢ়ভাবে কল্যাণমুখী। শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। আর এ কারণেই দেশটিতে ছুটছেন অনেক বাংলাদেশিও।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে যেখানে একটি দেশের শতকরা ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার, সেখানে ফিনল্যান্ডের ৭৪ ভাগই বনভূমি। দেশটির নাগরিকরা বিশ্বাস করেন, মানসিক প্রশান্তির সাথে পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বেকার, অসুস্থ, অক্ষম ও বয়স্কদের জন্য সরকারি ভাতা আছে ফিনল্যান্ডে। নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া প্রতিটি পৌর এলাকায় আছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যার ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ফিনল্যান্ডের জনগণ নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে না। প্রকৃতির অবদানকে উপেক্ষা করে না এবং নিজ জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। এই ছোট ছোট ভিন্নতাই ফিনল্যান্ডকে অন্যান্য দেশ থেকে আলাদা করে তুলেছে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ