বিশ্বের জনসংখ্যা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি ৮০৯ কোটিতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরো (ইউএস সেন্সাস ব্যুরো)। এ তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বে ৭ কোটি ১০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ছিল ভারত, যার জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। এরপরেই রয়েছে চীন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
ইউএস সেন্সাস ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্বজুড়ে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪ দশমিক ২টি শিশুর জন্ম এবং ২ জনের মৃত্যু হতে পারে। তবে মাসভিত্তিক জন্মহার ও মৃত্যুহার তারতম্যের কারণে এই গড় চিত্র ভিন্ন হতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ এশিয়া মহাদেশে বাস করে। বর্তমানে এশিয়ার জনসংখ্যা ৪৭০ কোটি, যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, আফ্রিকার জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি, যা দ্রুততম হারে বাড়ছে। ইউরোপে ৭৫ কোটি মানুষ বাস করে, যেখানে জন্মহার কম এবং বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যার হার বেশি। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় যথাক্রমে ৬৫ কোটি এবং ৪৫ কোটি মানুষ বসবাস করছে। ওশেনিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৪ কোটি।
ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে জন্মহার কিছুটা কম ছিল। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সাড়ে সাত কোটি শিশু জন্মেছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৯ সেকেন্ডে ১টি শিশুর জন্ম এবং প্রতি ৯ দশমিক ৪ সেকেন্ডে ১ জনের মৃত্যু ঘটতে পারে। দেশটিতে প্রতি ২৩ সেকেন্ডে ১ জন অভিবাসী নতুন নাগরিক হিসেবে যুক্ত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই চ্যালেঞ্জ আরও তীব্রতর। জনসংখ্যা বৃদ্ধি মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
সূত্র: এপি
এসএ