বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল কর্মসূচির নতুন আবর্তনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই আবর্তনের উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
এসময় তিনি বলেন, “বই একেবারেই একটি চিন্তানির্ভর মাধ্যম। এজন্য সবাই বই পড়তে পারে না। তবে যারা বই পড়ে, তাদের সংখ্যা যত কমই হোক, পৃথিবী তারাই পরিবর্তন করে।” তিনি আরও বলেন, “মেধা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এবং এটি প্রকৃতি থেকে আসে বলেই অফুরন্ত।“
তিনি গ্রিক সভ্যতার উদাহরণ টেনে বলেন, “দেড়শ বছর ধরে মাত্র সাড়ে চার লাখ লোক গ্রিক সভ্যতা তৈরি করেছিল। আমাদের আঠারো কোটি মানুষের মধ্য থেকেও সেই নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।“
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পুরোনো আবর্তনের শিক্ষার্থী অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা, আসলাম আহসান ও পাইক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। এছাড়া আলোর ইশকুলের শিক্ষকমণ্ডলীর পক্ষে সৈয়দ গোলাম ফারুক, খায়রুল আলম সবুজ, খন্দকার স্বনন শাহরিয়ার এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন বক্তব্য রাখেন।
মানবজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আনন্দময় চর্চা ও উৎকর্ষের মাধ্যমে উদার ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতি বছর আলোর ইশকুল কর্মসূচির আয়োজন করে। আঠারো ঊর্ধ্ব যে কোনো জ্ঞানপিপাসু মানুষ এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সংগীত, সাহিত্য, নৃত্য, চিত্রকলা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা, ও বিশ্ববিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব শাখার ৪০টি উৎকর্ষ চক্রে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে এ কর্মসূচিতে।
আল/এম