বিশেষ কোনো সুবিধা নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে নিজের মামলাগুলোর সমাধান চাইছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আইনজীবীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমান সরকার পতনের পর গত এক মাসে বিএনপির বহু নেতা–কর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও সাজা মওকুফ হলেও তারেক রহমানের মামলা বা দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডসহ মোট ৫টি মামলায় সাজা ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, ‘তারেক রহমান কোনো বিশেষ সুবিধা চান না। তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে দেশে ফিরতে চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে কঠোর নির্যাতন করা হয়েছিল, কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিলেও উচ্চ আদালত সাজা ঘোষণা করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য–প্রমাণের অভাব রয়েছে। উচ্চ আদালতে যাওয়ার পর তিনি মুক্তি পেতে পারেন। কারণ, ষড়যন্ত্র প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান মামলায় নেই।’
আইনজীবী এসএম শাহজাহান আরও বলেন, ‘তারেক রহমান আপিল করার সুযোগ পাননি কারণ তিনি লন্ডনে থাকেন। মামলার রায় পেতে হলে তাকে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে থেকেই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি। বর্তমানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে, তবে তিনি কোনো সাজা ভোগ করেননি।
বিএনপির আইনজীবীরা জানান, সরকার তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়নি, কিন্তু তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি যেসব মামলার রায় মোকাবিলা করবেন, সেগুলোর আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এমবি/ দীপ্ত সংবাদ