তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাইবার স্পেসে কোনো সীমান্ত বা সীমানা নেই উল্লেখ করে বলেন কোন ব্যক্তি, সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া কেউ তাদের সাইবার স্পেস সুরক্ষিত করতে পারে না। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতি সহযোগিতার প্রয়োজন।
তিনি বলেন নীতি, কাঠামো, আইন এবং একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া কোন দেশ সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে পারে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩” প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন সবাই জিমেইল ব্যবহার করলেও নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। কারণ জিমেইল ভার্নালেবল। যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখনো যারা হ্যাকিংয়ের শিকার হননি তারা কেউই বলতে পারবেন না যে তিনি হ্যাকড হননি। তাই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কেননা, কেউ না কেউ ইন্টারনেটে আপনাকে নজরদারিতে রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে সচেতনতা, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল ও নীতি অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আন্তঃ সীমানা সহযোগিতায় এ ৪টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তাই আন্তর্জাতিক আন্তঃ সীমানা সহযোগিতায় একক প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। এখন থেকে প্রতিবছরই এ পদক দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেয়েছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে প্লেন্টি প্রজেক্ট নিয়ে স্মার্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে সেন্ট জোসেভ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান। পাশাপশি এন্টরপ্রেনিউর্স ক্যাটাগরিতে ভারতের “এন্ড নাও ফাউন্ডেশন”, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে “বাইট ক্যাপসুল”, সরকারি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়র্ক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে “পথচলা ফাউন্ডেশন”। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আৰু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ ” চালু করেছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতার উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে।