সম্প্রতি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে যখন নানা সমালোচনা, সেই সময় এর পাশে দাঁড়ালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যানন্দের কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়ে কিছু ছবি প্রকাশ করেন এ অভিনেত্রী।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন,’ছবিগুলো হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো না। কিন্তু বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পাশে থাকায়, তাদের পক্ষে কথা বলায় কিছু মানুষ ফ্যানপেজের কমেন্টে এবং ইনবক্সে যে পরিমাণ অশালীন কথা বলে তাদের কুরুচি এবং নিচু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে! তাদের জবাবে দৃঢ়চিত্তে আবারও বলতে চাই– বিদ্যানন্দ – Bidyanondo এর পাশে আছি, থাকবো।’
ছবিগুলোতে দেখা যায়, স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য তৈরি বিশেষ সুপারশপে কিনতে আসা ক্রেতাদের তিনি নিজে পণ্যসামগ্রী এগিয়ে দিচ্ছেন। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহযোগিতার হাত।
এর আগে সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফাউন্ডেশন নিয়ে সমালোচনার জবাব দেয়ার জন্য ফেসবুক লাইভে আসেন বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস। সেই লাইভ টাইমলাইনে শেয়ার করে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী।
শাওন লিখেছেন, ‘এই মানুষটাকে যখন চিনতাম না তখন থেকেই বিদ্যানন্দের কাজ ভালো লাগতো। একসময় কিশোরদাকে জানলাম, বিদ্যানন্দের প্রতি ভালোবাসা আর সমর্থন আরও বেড়ে গেল।’
এ অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘সম্প্রতি ২ পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যানন্দে শ্রম দিয়েছি। তখন খুব কাছ থেকে দেখতে পেরেছি বিদ্যানন্দের তরুণ পাগলাটে কর্মীদের। তাদের মাথায় কিলবিল করে আইডিয়া, কীভাবে আরও নতুন কিছু করে মানুষের উপকার করা যায়, দেশটাকে পরিচ্ছন্ন রাখা যায়।’
তিনি আরো লেখেন, ‘তারা নিজেরা পরিকল্পনা করে, নিজেরা উদ্যোগ নেয়, নিজেরাই জুতা সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠ ধরনের সব কাজ করে। তাদের এই উদ্যোমকে আমি মনে–প্রাণে সমর্থন করি।’ আর সবশেষ তিনি যুক্ত করেন, ‘বিদ্যানন্দ-Bidyanond, পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’
উল্লেখ্য, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার শুরু তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা কয়েকটি কোলাজ ছবি নিয়ে। তাদের ফেসবুকে প্রচার করা বঙ্গবাজারের পোড়া কাপড় থেকে বানানো গহনার ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
শুধু তাই নয়, একই গরুর ছবি বারবার পোস্ট করা, মজিদ চাচা নামে একজনের নাম বারবার ব্যবহার করা, তাকে গরুর মাংস খাওয়ানোর কথা বলা– নানা কারণে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
এমি/দীপ্ত