শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে অর্জিত ছাত্র–জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতেই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সহযোগী ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. আল মামুন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আল মামুন দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন এবং মিডিয়া ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা উপস্থতি ছিলেন। তিনি এ ধরনের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং ঘটনার নিন্দা জানান।
জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। আর গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর হামলা। এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া। মিডিয়ার ওপর হামলা মানে সারা বিশ্বের কাছে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি দেখানো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাতীয় ছাত্র সমাজসহ সারা দেশের প্রায় সব ছাত্র সংগঠন এবং জনতা মিলে যে বিজয় অর্জন করেছি, সেই বিজয়ের এই আন্দোলনকে কীভাবে নস্যাৎ করা যায় সেজন্য পরিকল্পিত এই হামলা।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কোনো দল বা মত থাকতে পারে না। তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এ হামলা তারা সব সময় করে গেছে। যেভাবে ছাত্র–জনতা মিলে দেশে অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছিল, সেভাবে ছাত্র–জনতা মিলে এই সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে, যাতে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ রোধ কেউ না করতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ দ্দৌলা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির মোর্শেদ, যুগ্ম আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পাভেল, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সিনিয়র যুগ্ম–আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন অন্তর, তিতুমীর কলেজ শাখার আহ্বায়ক খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।