বিএনপি দেশকে বোমা ও গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে অন্য কোন দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অথচ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
১৯৭৫–এর ১৫ আগস্টের পর দেশে বিচারহীনতার যে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হয়েছিল, আওয়ামী লীগ তা ভেঙে দেশে বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।দেশের যা কিছু উন্নতি হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার লড়াই স্মার্ট জনগোষ্ঠী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার।এ সময় প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স প্রণোদনাসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে হুন্ডিতে টাকা না পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব: স্মার্ট প্রবৃদ্ধির জন্য লক্ষ্য’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, হালকা ও ভারী মেশিন, রাসায়নিক, সার, তথ্যপ্রযুক্তি, সমুদ্র সম্পদ, চিকিৎসাসরঞ্জামসহ আমাদের অনেক সম্ভাবনাময় সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া আরও কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায়, তার সুযোগ ও সম্ভাব্যতাও অনুসন্ধান করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন অংশীদার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল বন্ধুপ্রতিম এ দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদার হিসেবে থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ