২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোট ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা আয় করেছে। আর ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে দলটির ফান্ডে জমা আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানী আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয় আয়–ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় বিএনপি প্রতিনিধি দল।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বিএনপি‘র আয়–ব্যয়ের হিসাব গ্রহণ করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের এ–সংক্রান্ত তথ্য জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত বছর বিএনপি‘র আয়ের তুলনায় ব্যয় কম হয়। ফলে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে। উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা। এই অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা আছে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে বিএনপি আয়ের খাতের মধ্যে ছিল জাতীয় নির্বাহী কমিটির মাসিক চাঁদা, বইপুস্তক বিক্রয়, বিভিন্ন ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের অনুদান, ব্যাংক থেকে অর্জিত সুদ ইত্যাদি।
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আর ব্যয় খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আর্থিক অনুদান, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ, পোস্টার–লিফলেট ছাপানো, বিভিন্ন সভার হল ভাড়া, দাপ্তরিক ক্রোড়পত্র ছাপানো, রমজানে ইফতার মাহফিল ও অফিশিয়াল বিভিন্ন খরচ।
রিজভী বলেন, গত বছর বিএনপি‘র আয় কীভাবে হয়েছে, কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য অডিট রিপোর্টে উল্লেখ আছে। গণতান্ত্রিক পথে হাঁটার যে প্রক্রিয়া, তা অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশনে এসে বিএনপি আয়–ব্যয়ের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করেছিল। তবে বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে।
বিএনপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন– দলটির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, বিএনপি নেতা আমিনুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন বিধান অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়–ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হয়। সে অনুযায়ী, আজ ইসিতে আয়–ব্যয়ের হিসাব জমা দিল বিএনপি।
এসএ