ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্র–ছাত্রীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এনইউ)। উচ্চ শিক্ষাকে কর্মমুখী করতে বিদ্যমান সিলেবাস সংস্কারের পাশাপাশি স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে আইসিটি ও ইংরেজি কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসাথে দেশ বিদেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও উন্নত উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন উচ্চ শিক্ষায় যে গুণগত মান পরিবর্তনের চেষ্টা করছে তার সফলতা নির্ভর করছে সংস্কার করা সিলেবাস ছাত্র–ছাত্রীদের কাছে সহজভাবে তুলে ধরার উপর। এজন্য ব্যাচেলর অব এডুকেশন–বিএড এর সিলেবাস সংস্কার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস–চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। একারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ–আইইআর এর সহায়তা চেয়েছেনে তিনি।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর এর শহীদ শাদাত আলী কনফারেন্স রুমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক বছর মেয়াদী বিএড শিক্ষাক্রম সংশোধন ও পরিমার্জন বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, সারাদেশের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে যে আধুনিক গুণগতমান সম্পন্ন কর্মমুখী উচ্চশিক্ষা প্রদানের স্বপ্ন দেখছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তা বাস্তবায়নের মূল কারিগর বিএড ও এমএড ডিগ্রিধারীরা। তারা নতুন সিলেবাস সহজভাবে শেখানোর কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব। তিনি বলেন, আইইআর থেকে বিএড এর সিলেবাস সংশোধন ও পরিমার্জন করে দিলেই তা কার্যকর করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ–আইইআর এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালায় ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ–আইইআর এর শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, বিভিন্ন টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের শিক্ষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।