আজ ৩১ আগস্ট, বাইরে খাওয়ার দিন। দেশীয় প্রেক্ষাপটে বলা যেতে পারে ‘চড়ুইভাতি দিবস’। ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২০০৬ সাল থেকে এটি পালিত হয়ে আসছে।
মানবসভ্যতা শুরু ও বিকাশের আগ পর্যন্ত মানুষ বাইরের খাবার খেতো। মানুষ ঘরে বসবাস করা শুরু করার পরে খাবার প্রস্তুত ও খাবার গ্রহণের জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে ঘরকেই বেছে নেয়। বাইরে খাওয়াটা ধীরে ধীরে পরিণত হয় উৎসবে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফরাসি বিপ্লবপরবর্তী (১৭৮৯–১৭৯৯) সময়ে ফ্রান্সের রাজকীয় পার্কগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল। সে সময় ফ্রান্সের অধিবাসীরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে হাজির হতো উন্মুক্ত পার্কে। সমবেত মানুষ সেসব খাবার ভাগাভাগি করে খেতেন। এতে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছিল।
১৭৮৯ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে উঠতে থাকে বিভিন্ন গার্ডেন বা আনন্দ উদ্যান। সে সময়ে জার্মাণিতে গড়ে ওঠে ‘বিয়ার গার্ডেন’। এই সব উদ্যান বা গার্ডেন কেন্দ্রিক মানুষ অবকাশ, আনন্দ এবং উৎসবমুখর সময় কাটাতে শুরু করে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হয়েছে দূরদূরান্তের মানুষ একত্রিত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। যেকোন উপলক্ষে তারা বাইরে খাওয়ার আয়োজন করতে শুরু করে।
হাঁপিয়ে ওঠা শহুরে মানুষজনও সময়–সুযোগ পেলেই লুফে নেন এমন সুযোগ। বাসার ছাদে অথবা সদলবলে গাছঘেঁষা কোনো পার্কে করেন খাবারের আয়োজন অথবা রান্নাবান্না।
তবে, চাইলে রেস্তোরাঁতে গিয়েও উদযাপন করা যেতে পারে দিনটি। সেক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারেন আপনার কাছের মানুষজনকে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে খাওয়ার অনুভূতি বেশ আলাদা। হোক সেটা নিজেদের রান্না অথবা রেস্তোরাঁর।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ