আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোনো কোরবানি পশু, বিশেষ করে ছাগল–ভেড়া বাসে পরিবহন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (২৬ মে) বিকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) থ্রিডি সেমিনার হলে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘দেশীয় পশুতে কোরবানি: পশু ও চামড়া ব্যবস্হাপনায় করণীয়‘ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এবার কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সরকার বিনামূল্যে লবণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা পশু যাতে বাজারে না আসতে পারে, সে ব্যাপারে সরকার সজাগ আছে। কমদামের জন্য কোরবানি চামড়া যাতে ফেলে দেয়ার মতো ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কুরবানি আমাদের আবেগ ও ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। আশা করা যাচ্ছে এবার কোরবানি পশুসহ আনুষঙ্গিক বেচাকেনায় প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতে পারে।
প্রান্তিক খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গবাদি পশু পালনে স্থানীয় খামারিরা। আমি রাজশাহীতে গিয়ে অবাক হয়েছি। তারা বলছে, পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে স্থানীয়ভাবে গরু–ছাগল পালনের আগ্রহ বেড়েছে।’
এসএ