দিন দিন পঞ্চগড় জেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। টানা তিন দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির রয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ।
শীত বাড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও কয়েকগুণ বেড়েছে। অনেকেই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ও রাস্তার মোড়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
তালমা এলাকার কৃষক হাসিবুল ইসলাম বলেন, আজ ঘন কুয়াশা ছিল না, শুধু হালকা কুয়াশা ছিল। সকালেই সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি বরং আরও ঠান্ডা লাগছিল।
একইসঙ্গে শ্রমিক রুহুল আমিন জানান, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়। বরফ ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে গিয়ে হাত–পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এ সময় কিছু সহায়তা করত, তাহলে একটু স্বস্তি পেতাম।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি হাসপাতালে ভিড় করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত ৩ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি ঘরেই অবস্থান করছে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই এমন অবস্থা তৈরি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান জানান, শীতপ্রবাহ মোকাবিলায় সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছে, পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থারাও সহায়তা দিচ্ছে।
এসএ