আবহাওয়া অনুকুলে থাকা, লিচুর ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে আগাম লিচু উঠে যাওয়ার ফলে বাজার মূল্য ভাল পেয়ে খুশি মাগুরার লিচু চাষিরা। চলতি মৌসুমে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা মাগুরা কৃষি বিভাগের।
মাগুরা জেলায় এ বছর ৬৩৯ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে সদরের হাজরাপুর, ইছাখাদা, কাশিনাথপুর, মির্জাপুর, সায়ত্রিশ, হাজিপুর এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এ এলাকায় হাজরাপুরি ছাড়াও বোম্বাই, মোজাফফরি, চায়না–৩, মাদ্রাজি ও বেদানা জাতের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে হাজরাপুরি দেশী জাতের লিচু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ঢাকা ও দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক বাগান মালিক গাছে ফুল আসার সময়ে বাগানসহ বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যাপারীদের কাছে। আবার অনেক মালিক নিজেরাই বিক্রি করছেন তাদের লিচু। আকার ভেদে ব্যবসায়ীরা উনিশশো থেকে দুই হাজার টাকা মুল্যে এক হাজার পিচ হিসাবে লিচু ক্রয় করে নিয়ে গেলেও লিচুর গুনাগুনে স্থানীয় বাজারে একশো লিচু বিক্রি হচ্ছে দুইশো ত্রিশ থেকে দুইশো পঞ্চাশ টাকায় দরে।
বিষ মুক্ত লিচু চাষ করে মাগুরার কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে একই সাথে এই লিচু বাগানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে এলাকার নারী পুরুষদের সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যেহেতু হাজরাপুরী লিচু এর দেশব্যাপী চাহিদা রয়েছে সে কারণে মৌসুমের শুরুতেই লিচুর যাতে ভালো ফলন হয় সেজন্য কৃষকদের কে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস, লিফলেট বিতরণের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। এছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকাই লিচুর ফলন হয়েছে ভালো।
হাজরাপুরি জাতের লিচু রসালো ও মিষ্টি হওয়ার পাশাপাশি এ জাতের লিচু আগাম বাজারে উঠতে শুরু করায় প্রায় ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ।