বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক এনজিও কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং আপত্তিকর ভিডিও ধারণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফিরোজ নিকারীকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ এর একটি দল। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার মেহেরপুর বাসস্টান্ড সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ফিরোজ নিকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার ফিরোজ নিকারী ফকিরহাট উপজেলার ছোট খাজুরা গ্রামের মিরাজ নিকারীর ছেলে। তাকে ফকিরহাট মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ মামলায় ফিরোজ নিকারী দুই নম্বর আসামি ছিলেন। মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামী হচ্ছে ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া মাইট কুমড়া গ্রামের শেখ আলীর ছেলে মো. মামুন শেখ ও ভট্ট বালিয়াঘাট এলাকার মুজিবুর বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম বিশ্বাস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণধর্ষণের শিকার ভিকটিম একজন এনজিও কর্মী ছিলেন। তিনি বাগেরহাটের ফরিকরহাট উপজেলার জাড়িয়া মাইটকুমড়া এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন গত ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাত ২টার দিকে আসামিরা সুকৌশলে ওই এনজিও কর্মীর ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় ওই নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকাসহ তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং অন্যান্য মালামাল লুট করে। এরপর আসামীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং তাদের অন্য এক সহযোগী সে ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
এ ঘটনার গত রবিবার (২ এপ্রিল) বিচারকার্য শেষে বাগেরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস,এম সাইফুল ইসলাম উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী ফিরোজ নিকারীসহ তিন আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ছিলেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ নিকারীকে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমি/দীপ্ত