বাগেরহাটে দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ আনারুল ইসলাম আনা নিহতের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ জুন) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া কালাম বয়াতি (৪৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিকী ওরফে নিভাসকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত কালাম বয়াতি বাগেরহাট নাগেরবাজার এলাকার কাশেম বয়াতি ও আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাস দড়াটানা এলাকার আলী আকবরের ছেলে। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে, এম আজিজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে আনা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে বাগেরহাট পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট শহর থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি কালাম বয়াতি ও ১০ নম্বর আসামী আবু বক্কর সিদ্দিকী ওরফে নিভাসকে গ্রেফতার করে। এছাড়া কালা সোহেলসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে পিরোজপুর–বাগেরহাট মহাসড়কে শহরতলীর চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রর সামনের চিংড়ি ঘের দখলকে কেন্দ্র করে বাগেরহাট পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও কুপিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনারুল ইসলাম আনাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনা বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গনি শেখের ছেলে।
মামুন আহমেদ/আফ/দীপ্ত নিউজ