নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ঘরে একা পেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর মা হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নয়ন পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত নয়ন চন্দ্র দাস চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগী তরুণীর জেঠাতো বোনের স্বামী। বিয়ের পর থেকে নয়ন শশুর বাড়ি তথা ভুক্তভোগীর বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তিনি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে একা রেখে খাওয়ার পানি আনার জন্য পাশের বাড়িতে গেলে সে সুযোগে নয়ন তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ঘরে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে তিনি ছেলেকে মোবাইলে ঘটনাটি জানালে পরদিন ছেলে বিষয়টি স্থানীয় সবাইকে জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমিন বলেন, সকালে মেয়ের ভাই আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলেছেন। যেহেতু এটি আইনি বিষয় তাই আমি সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেই এবং নিজে থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নয়নকে আসামী করে একটি মামলা দিয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ভুক্তভোগী মেয়েকে পুলিশ হেফাজতে রেখে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমি/দীপ্ত