বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আর্থিকভাবে অস্বচছল এক ছাত্রীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক। টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে যাওয়া ওই ছাত্রীকে তিনি এ সাহায্য করেন।
জানা যায়, ওই ছাত্রী বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনা করছে। বাবা একজন দিনমজুর এবং তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৮,০০০–১০,০০০ টাকা। মা গৃহিণী। তিনি দ্বিতীয় সন্তান। তার ছোট দুটি বোন রয়েছে—একজন দশম শ্রেণিতে পড়ে, আর অন্যজন ৮ বছর বয়সী, বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের সব সদস্যই বাবার একক আয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় সবার খরচ চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পরেছে। অনেক কষ্টে ভর্তি ফি–এর টাকা জোগাড় করা হয়েছিল।
পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার নিয়ে, এলাকার প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও সাহায্য চেয়ে, যার কাছ থেকে যতটুকু পাওয়া গেছে, তা একত্র করে ভর্তি ফি মেটানো হয়। এরপর অনলাইনে ভর্তি ফি পরিশোধ করা হয়। কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ হয়নি—ক্যাম্পাসে গিয়ে সরাসরি ভর্তির দিনের যাতায়াত খরচও আলাদাভাবে জোগাড় করতে হয়েছে। এমতাবস্থায় তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পরে। পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিকের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপর তারিক আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী বলেন, টাকার অভাবে আমার পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয় গিয়েছিলো। পরবর্তীতে তারিক ভাইয়ের সাথ যোগাযোগ করলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪–২৫ সেশনের আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল একজন ছাত্রী অর্থাভাবে তার স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছিল না। সেই ছাত্রী আমার কাছে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করে, পরবর্তীতে আমার কাছে সঞ্চিত কিছু টাকা তাকে প্রদান করি। যার মাধ্যমে সে আগামী কয়েক মাস তার দৈনন্দিন ব্যয়ভার বহন করতে পারবে। এসময় তাকে আরো আশ্বাস দেই যে, ভবিষ্যতে তার যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকবো।
উল্লেখ্য, এর আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন আর্থিকভাবে অস্বচছল শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্বভার গ্রহন করেছিলেন মো. তরিকুল ইসলাম তারিক।
আল