বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এ বৈঠকে অংশ নেওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূতগণ।
এর আগে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাতে নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল (ইসরায়েল কর্তৃক গাজায়) হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি–যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে।
তিনি বলেন, যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।
আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনীদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানেও ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, “কোন পথে ওষুধ পাঠানো হবে এখনো সেটা ক্লিয়ার না, তবে আমরা পাঠাব।”
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ