3652
পরিষেবার শর্ত লঙ্ঘন করে, এমন কনটেন্ট থাকায় বাংলাদেশ অঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সম্প্রতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘টিকটক কথা শুনতে শুরু করেছে।’
পোস্টের সঙ্গে মন্ত্রী একটি স্ক্রিনশটও দিয়েছেন। যাতে দেখা যায়, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টিকটক বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে।
মন্ত্রীর পোস্টের সূত্র ধরেই দেখা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক ‘কমিউনিটি গাইডলাইন এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভিডিও সরানো হয়েছে ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩৮টি। এর মধ্যে স্ব-উদ্যোগী হয়ে টিকটক ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং কোনো ভিউ হওয়ার আগেই সরানো হয়েছে ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ ভিডিও।
এর আগের বছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৬টি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছিল টিকটক। ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার শীর্ষ ৩০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। শীর্ষ পাঁচটি দেশ হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া।
প্রতিবেদনে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত টিকটক মোট ভিডিও সরিয়েছে ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৯ হাজার ৩০০টি। এতে স্ব-উদ্যোগী হয়ে ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ, কোনো ভিউ হওয়ার আগেই ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে।
এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি প্রতিবেদনে বলেছে, কমিউনিটি গাইডলাইন, পরিষেবার শর্ত লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে টিকটক নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তারা এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।