চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন–জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে মূল্যস্ফীতি হ্রাসসহ আর্থিক খাতের সংস্কার বা পুনর্গঠন হলে, তা ৫ দশমিক আটে উন্নীত হওয়ার আশাও করছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, আন্তর্জাতিক এই আর্থিক সংস্থা। এতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর পর শক্তভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, আর্থিক খাতের ভগ্নদশা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জ্বালানির দামবৃদ্ধি, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানিতে টান পড়া– এই চার কারণকে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে প্রবৃদ্ধিতেও।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পণ্যের দামের ওপর নির্ভর করে, মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকতে পারে। আর বিদেশি খাতের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে, বিনিময় হারের অস্থিরতা দূর করা ও বিনিময় হারের সীমা তুলে নেয়ার ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতে ৬ দশমিক ৩ এবং মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলেও উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে।
আল / দীপ্ত সংবাদ