টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদি।
প্রথম ওভারে লাইন লেন্থ ঠিক ছিল না শরিফুল ইসলামের। ১৪ রান খরচ করেছেন। শেষ বলটিও ছক্কা হতে পারতো। কিন্তু কুশল মেন্ডিসের (৪ বলে ৬) হাঁকানো শট ডিপ স্কয়ার লেগে হয়ে যায় তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ।
পরের ওভারে আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। তার ঘূর্ণিতে স্লিপে তানজিদ হাসান তামিমকে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা, ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। ১৯ রানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
ইনিংসের পঞ্চম এবং মেহেদী নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন দিনেশ চান্দিমালকে। মিডঅনে খেলতে গিয়ে বল সোজা আকাশে উঠে যায়, জাকের আলীর ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন চান্দিমাল (৫ বলে ৪)। ৩৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের।
শেখ মেহেদী নিজের পরের ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন চারিথ আসালাঙ্কাকে। লঙ্কান অধিনায়ক ৮ বল খেলে করতে পারেন মাত্র ৩ রান।
বাংলাদেশি এই অফস্পিনার নিজের শেষ ওভারেও উইকেট পেয়েছেন। ইনিংসের ১১তম ওভারে তিনি নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন একপ্রান্ত ধরে লড়াই করতে থাকা নিশাঙ্কাকে। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শামীম পাটোয়ারীর বলে কামিন্দু মেন্ডিস রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচ হন। ১৫ বলে মেন্ডিস করেন ২১।
৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা শেষদিকে দাসুন শানাকার ব্যাটে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে। শানাকা ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩৫।
শেখ মেহেদী ১১ রানের বিনিময়ে নেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট শরিফুল, মোস্তাফিজুর রহমান আর শামীম পাটোয়ারীর।
আল