বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় অপর এক ব্যক্তিকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সন্দেহজনক ৫ জনকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন: আলমগীর কবিরাজ ও হেলাল বেপারী।
নিহত আলমগীরের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানিয়েছেন, ২টি মামলায় সাত বছর গ্রামের বাইরে থাকার পর এক মাস আগে আলমগীর কবিরাজ ও হেলাল বেপারী এলাকায় আসেন। এরপর থেকেই হাজী গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল। সর্বশেষ সোমবার (১০ এপ্রিল) আলম মেম্বরের নির্দেশে পুলিশ এসে আকন গ্রুপের ৫ জনকে আটক করে। আটক থেকে রক্ষা পেতে কামাল দৌড় দিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে কামাল আহত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকন ও হাজী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাদের হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে আলমগীর ও হেলাল খড়ের গাদায় লুকিয়ে থাকে। সেখান থেকে তাদের বের করে বিলে নিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা ফেলে রাখা হয়। রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত হেলালের বোন রোজিনা বেগম জানিয়েছেন, নিরাপরাধ ৫ জনকে পুলিশ আটক করার পর আকন গ্রুপের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে কামাল আহত হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ভোররাতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। কামালকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া হাজী গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তার অপর ভাই হেলালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন অশ্রু জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এ দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে। এর জের ধরে ইতিমধ্যে দুই গ্রুপের ১৫ জনের মত হত্যার শিকার হয়েছে। গ্রাম ছাড়া হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ।
এদিকে সোমবার রাতে হেলালের লাশ উদ্ধার করতে গেলে আকন গ্রুপের লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে লাশ ছিনিয়ে নেয়। হামলা থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এমি/দীপ্ত