বরগুনার ভাড়ানি খাল খননের পর দুই পাড় রক্ষায় উদ্যোগ না নেয়ায়, ঝুঁকিতে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। পৌরসভা এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ব্লক দিয়ে খালের দুই পাড় রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বরগুনা শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে ভাড়ানি খাল। আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালে মৃতপ্রায় খালটি খনন করা হয়। কিন্তু খাল খননের পর দুই পাড় রক্ষায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় খালে বিলীন হচ্ছে শহর রক্ষা বাঁধ, কেন্দ্রীয় শ্মশান ঘাট, ঘর-বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং পাকা রাস্তা। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে পাঁচটি সেতু। এরইমধ্যে একটি সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসছে না। তাই ব্লক দিয়ে খালের দুই পাড় রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর। খাল খনন ও পাড় রক্ষার বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
২০২০-২১ অর্থবছরে দখল মুক্ত করে খালটি খনন করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যয় করে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।