নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে (২২) তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে নগ্ন ভিডিও–ছবি ধারণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ মে) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১ জনের নাম উল্লেখসহ ২–৩ জনকে অজ্ঞাত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মো.সোহেল (৩০) উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিন সর্দারের নতুন বাড়ির সাহাব উদ্দিন সর্দারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক ভুক্তভোগীর স্বামীর বন্ধু। ভুক্তভোগীর স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন বাজার করে পাঠাত। এই সুযোগে বন্ধুর স্ত্রীর সাথে তার পরিচয় হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে গেলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সোহেল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মুঠোফোনে নগ্ন ছবি–ভিডিও ধারণ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, এর আগেও সোহেল ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। এছাড়াও সোহেল ভিকটিমকে নগ্ন ছবিও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এমি/দীপ্ত সংবাদ