টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে এবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার আপন বড় ভাই মির্জা জিয়াউল হাসান জনি। বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তিনি বোনের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার বোন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বখাটে হয়ে যায়। সেসময় থেকেই সে নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। বাড়িতে নিজের কক্ষে প্রতিনিয়ত নেশার আড্ডা বসাতো। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর চড়াও হত। প্রতিবাদ করার কারণে সে একাধিকবার আমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়। এর প্রেক্ষিতে নানাভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে পুলিশের কাছে হয়রানি হতে হয়েছে।
মির্জা জিয়াউল হাসান অভিযোগ করেন, তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে আমাদের পরিবার এখন এলাকায় মুখ দেখাতে পারছেনা। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এ সমস্যা ভোগ করে আসছি। কিছুদিন আগে আমার বোন শহরের থানাপাড়া এলাকায় একটি ছেলেকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সে ওই স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে ছেলেটির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে সে। এ ব্যপারে শহরের বিভিন্ন মানুষের কাছে আমাদের হেয় হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তার বোন একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এরপর যে মহিলার জিম্মায় রয়েছে সে মহিলা একজন মাদককারবারী। এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ওই মহিলা। পুলিশের কাছে ওই মহিলা আমার (মির্জা জিয়াউল হাসান) ফুপু পরিচয় দিয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমার ফুপুরা সকলেই শিক্ষিত ও স্বনাম ধন্য। ওই মহিলার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কিশোরীর ভাই বলেন, আমার নিজের বোনের বিরুদ্ধে এসব কথা বলা আমার জন্যে খুবই কষ্টকর। তারপরেও আমার কিছু করার নেই। আমি ও আমার পরিবার এখনো আমার বোনের মঙ্গল কামনা করি। তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এমি/দীপ্ত