বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান, সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ এবং বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন।
এদিকে, গত ২৭ নভেম্বর এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আইনজীবীরা জানান, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল সব নিয়ম মেনেই। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আদালতকে প্রভাবিত করে তার নাম মামলায় থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহারের ফলে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৫ অক্টোবর, দুদকের উপ–পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়া ও ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।