দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ফেইস (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) পরিবর্তন করার কারণে কয়লা উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়। এ কার্যক্রম চালু হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। পুরাতন ফেইসে কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে নতুন ফেইস চালু করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে নতুন ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। নতুন ফেইসে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।
খনির একটি সূত্র জানিয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর ফেসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে গেছে। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এখন নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। নতুন এই ফেসে ২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খনিতে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রেখে ৩ নম্বর ইউনিট চালু রেখে ১৮০–২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এটি উৎপাদন রাখতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত পিডিপির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এ কয়লা দিয়ে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট অর্থাৎ ৩য় ইউনিট উৎপাদন চালু রাখতে হবে। তবে, নভেম্বর মাসে কয়লা উত্তোলন সম্ভব না হলে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন অথবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়তে পারে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ