বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে এম.ভি মা ও এম.ভি লিমা নামক দুইটি ফিশিং ট্রলারে ভাসতে থাকা ২৩জন জেলেকে মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে উদ্ধার করা এসব জেলেদের সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার স্টেডিয়াম রোড পাড়া গ্রামের শরীর ঢালী ছেলে জামাল (৬৩), পূর্ব কালমেঘা গ্রামের শাহাজান এর ছেলে শাহিন (৩৮), রুইবোক গ্রামের হাবিব খানের ছেলে মোহাম্মদ শুকুর মিয়া (৪১), রুইবোক গ্রামের কালুর ছেলে মোঃ শাহীন (৫১), পূর্ব কালমেঘা গ্রামের, অহর এর ছেলে মোঃ স্বপন ইসলাম (৪১), চরলাঠিমারা গ্রামের জব্বার হাওলাদার এর ছেলে কালাম (৫৩), , উত্তর পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে ফজল (৩০), বড়ইতলা গ্রামের বাবলু খানের পুত্র রুবেল খান (৩০), চরলাঠিমারা গ্রামের বাবলু খান এর ছেলে রুবেল খান (৩০), চরলাঠি মারা গ্রামের নূর হোসেন মুসল্লির ছেলে তরিকুল (১৫), উত্তরপাথরঘাটা গ্রামের আব্দুল সোবহান এর ছেলে সোলায়মান (২৯), পোহরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের আরিফ (১৬), সোনাতলা গ্রামের মান্নান হাওলাদার এর ছেলে নুহু (২৯), চরলাঠিমারা গ্রামের মজিদ হাওলাদার এর ছেলে কামাল হাওলাদার (৪৪), বাদুড় তলা গ্রামের আমীর হোসেন এর ছেলে আশিফুল (২৮), পাথরঘাটা মৃত চাঁদ শরীফ এর ছেলে জামাল (১৬), বড়পাথরঘাটা গ্রামের ছবির এর ছেলে ইমরান (২১), গোহরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর ছেলে তরিকুল (১৮), কাকাছিরা গ্রামের সোলায়মান এর ছেলে জাফর হোসেন (৩৫), চল্লাডিপাড়া গ্রামের মৃত তুতামিয়ার ছেলে লাল মিয়া (৫৫), পাথরঘাটা গ্রামের নসু হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম (৩০), গোহরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর ছেলে আরিফ (৩২), বড়ই তলা গ্রামের নূর হোসেন এর ছেলে ইউনুস (২৮)।
এদিকে উদ্ধারকৃত জেলেরা বলেন, মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানকালে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। সাগরেই ভাসতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে জীবনে বেঁচে ফিরবেন এমন আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে ভাগ্যক্রমে শুক্রবার মান্দারবাড়িয়া ফাঁড়ির বন বিভাগের একটি টহল টিমের নজরে পড়লে তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বনসংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ২৩জন জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সাগরে ভাসতে ভাসতে শুক্রবার সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাহির মান্দারবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে বন ফাঁড়ির একটি টহল দল শুক্রবারে তাদের উদ্ধার করে। এরপর থেকে তারা বন বিভাগের হেফাজতে ছিল। আজ দুপুরে তাদের নিরাপদে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ