জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুদের বন্ধু। তিনি চাইতেন শিশুরা বড় হবে হেসে–খেলে। রাজনৈতিক ব্যস্ততা থাকলেও শিশুদের সান্নিধ্য খুবই উপভোগ করতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছেন এমন সৌভাগ্যবানদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে প্রিয় মুহূর্তগুলো।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চের ৪টি আয়োজনে সামিলের সুযোগ পেয়েছিলেন জাতির পিতা। সেইদিন গণভবনে শিশুদের আনাগোনায় কোন বাধা ছিলো না। তাই পথশিশু থেকে শুরু করে কিশোর–কিশোরীরা ছুটে যেত বঙ্গবন্ধুর কাছে।
বারবার কারাবরণের কারণে বঙ্গবন্ধুর ৫ সন্তান শৈশবে পিতার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তবে স্বাধীনতার পর শেখ রাসেল বাবার সাথে সব জায়গায় যেতে পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধুও সব শিশুকেই নিজের সন্তানের মতো আদর করতেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিবেশী নাসরীন আহমাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সমাবেশে শিশুদের আনাগোনা থামানো যেত না। তাই নিরাপত্তা কর্মীদের হিমশিম খেতে হতো। তাদের দৃষ্টিতে শিশুদের কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
বঙ্গবন্ধুর আমলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু শিশুর অধিকার রক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। ১৯৭৪ সালে শিশু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করেছিলেন জাতির পিতা।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতেও শিশুদের আলোর পথের দিশারী হয়ে আছে জাতির পিতার আদর্শ।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ