বক্সিং ডে টেস্ট– কথাটা শুনে থাকবেন অবশ্যই। কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে, কেন এর নাম বক্সিং ডে টেস্ট? এমন নামের পেছনের ঘটনাটাই বা আসলে কী? সাদা পোশাকে খেলা এই বিশেষ নামের ম্যাচে, কাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় অস্ট্রলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত। এদিকে, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে কাল দুপুর ২টায়, সাউথ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
ক্রিকেট সার্কিটে বেশ জনপ্রিয় বক্সিং ডে টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া এবং সে দেশে সফররত কোনো জাতীয় দলের মধ্যেই বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো টেস্ট ম্যাচের নাম কেন দেওয়া হলো বক্সিং ডে?
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। এর ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বরকে বলা হয় বক্সিং ডে। ঘটনাটি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের। এদিন শ্রমিকদের তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো আকর্ষণীয় উপহার। যা থাকতো বক্সের মধ্যে এবং খোলা হতো বড়দিনের পরদিন। অর্থ্যাৎ ২৬ ডিসেম্বর। এরপরই থেকেই দিনটিকে বলা হয়, বক্সিং ডে। কালক্রমে এটি বড়দিনের উৎসব পালন করা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং খৃস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য অপরিহার্য উৎসবের দিনে পরিণত হয়।
বক্সিং ডে ক্রিকেট প্রথম শুরু হয় ১৮৯২ সালে, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বক্সিং ডে টেস্ট খেলা হয় ১৯৫০ সালে। তবে ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আয়োজন করা হয় বক্সিং ডে টেস্ট।
এবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। বড়দিনে চতুর্থ টেস্টের একাদশে রয়েছে দু‘টি পরিবর্তন। ন্যাথন ম্যাকসুইনির জায়গায় উসমান খাজার সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে স্যাম কনস্টাসকে। ১৯ বছর বয়সী এই ওপেনারের অভিষেক হচ্ছে মেলবোর্ন টেস্টে। ইনজুরির কারণে চতুর্থ টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়া জশ হ্যাজেলউডের জায়গায় দলে ফিরেছেন পেসার স্কট বোল্যান্ড। তবে ট্রাভিস হেডকে নিয়ে থাকা শঙ্কা কেটে গেছে।
ভারতের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা রান পাচ্ছেন না। শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়ালেরাও প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছেন না। তবু ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর কোনো ম্যাচ হারলে চলবে না রোহিতদের।
বোলিং বিভাগে যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে দেখা যেতে পারে আকাশ দীপকে। বল হাতে ব্রিসবেনে প্রথম পারফম্যান্সে খুশি কোচ গৌতম গম্ভীর।
এবারের বক্সিং ডে টেস্টটি বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য স্পেশাল বলা যায়। আইসিসি এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, এই ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।