অনলাইনভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সি ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ হঠাৎ করে কার্যালয় বন্ধ করে দিয়ে কর্মচারীদের ছাঁটাই করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও সাধারণ যাত্রী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
গত ২ আগস্ট ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ নামে এজেন্সিটি রাজধানীতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং কর্মীদের চাকরিচ্যুত করে।
এজেন্সিটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের টিকিট বিক্রি এবং করপোরেট সেবা প্রদান করছিল।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবকে পাঠানো চিঠিতে আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, অনৈতিকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে নিরুদ্দেশ হওয়া অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যেন যাত্রীদের ইস্যুকৃত টিকিট রিফান্ড বা বাতিল না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি। আটাব ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী এজেন্সিদের লিখিত অভিযোগ সংযুক্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট‘ কর্তৃক সাধারণ ট্রাভেল এজেন্সি ও যাত্রীদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ায় আটাব ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আটাব বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত ছাড়ের টিকিট না কেনা এবং প্রলোভনে পা না দেওয়ার জন্য সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছিল। এরপরও প্রতারিত এজেন্সি ও যাত্রীদের প্রতি আটাব সহানুভূতি জানিয়েছে এবং তাদের টিকিট যেন বাতিল বা রিফান্ড না হয়, সেজন্য ভুক্তভোগী এজেন্সিদের আবেদনের সঙ্গে আটাব বিমান সচিবের কাছে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্লাইট এক্সপার্ট গ্রুপের মাধ্যমে ইস্যুকৃত টিকিট বাতিল বা রিফান্ড যেন না করতে পারে, সেজন্য তাদের জিডিএস ব্লক করার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় দ্রুত নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানাই।
আটাব পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এমন অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির অপতৎপরতা রোধে একটি সমন্বিত নীতিমালা এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর প্রতারিত না হয় এবং ট্রাভেল সেক্টরের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।
মাসউদ/এসএ