‘জীবন বাজি রেখে যারা পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনও জাতির ঘাড়ে রয়ে গেছে।’— বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানী বনানীতে হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিজমকে পুরোপুরি বিদায়ের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। যার মধ্য দিয়ে একটা ন্যায্য সরকার গঠিত হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান ইসি প্রতীক ফিরিয়ে দেবেন। তারা তাদের চেয়ারের মর্যাদা রাখবেন, তবে পক্ষপাতমূলক আচরণ বা ব্যতিক্রম কিছু হলে জামায়াত চুপ থাকবে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষ্যে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়, সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে জামায়াতে আমির বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কোনো ছাড় নেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে আমরা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট পালিয়ে পালিয়ে গেলেও ওপার থেকে উঁকিঝুঁকি ও নানা বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এসএ