অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী জেলা প্রতিনিধি ওমর ফারুকের উপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি ও যুবদলের নামধারী একদল সন্ত্রাসী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সালেহ আহমেদের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক ওমর ফারুকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পেশাগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসার সময় তার বাড়ি সংলগ্ন ওই মাদ্রাসা সড়কে ৪টি মোটর সাইকেলে করে একই ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্দি গ্রামের ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুকের নেতৃত্বে স্থানীয় সোহাগ, মামুন, তারেক রাহিদ, রাসেল ও কিরণসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও খবর পেয়ে সাংবাদিকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুজ্জামান ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার নয়ন দেবনাথ জানান, সন্ত্রাসীদের হামলায় সাংবাদিক ওমর ফারুকের ঘাঁড়, মাথা, বুক ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন।
এ ঘটনায় রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফেনী প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফেনী জেলা শাখা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, আসামিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন। বৃহস্পতিবার ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের উপর হামলার খবর পেয়েই হাসাপাতালে গিয়ে আহত ওমর ফারুকের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, শীঘ্রই দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ‘ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতীলীগ নেতার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ‘ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়– বালু লুটে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী রাফিক সহ অনেকেই।
মামুন/আল