ফেনীতে বন্যা কবলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় খালে–বিলে ও বিভিন্ন স্থানে ভেসে আসছে মরদেহ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পৃথক স্থানে ভাসমান অবস্থায় পাওয়ার পর ফেনীতে দুইটি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যাগুলো জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ফেনীতে বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়ে নিহতদের মাঝে ১৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী রয়েছেন। উদ্ধারকৃত মরদেহ ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনো শনাক্ত করা যায়নি ৭ মরদেহ। উদ্ধারকৃত মরদেহের মাঝে ফেনী সদর উপজেলায় ৩ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ২ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৭ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৬ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৩ জন ও পরশুরাম উপজেলায় ২ জন রয়েছে। অজ্ঞাত মরদেহের মাঝে ফেনী সদর উপজেলায় ২ জন মাঝ বয়সী পুরুষ, সোনাগাজী উপজেলায় ৪ অজ্ঞাত মরদেহের মাঝে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী রয়েছে। এছাড়াও ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধ মহিলার পরিচয় মেলেনি।
তবে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে– ফেনীতে বন্যায় এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের মাঝে অনেকেরই মরদেহ বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেনীর গ্রামগঞ্জে এখনও পানি পুরোপুরি নামেনি। পুরোপুরি পানি নামার পর বন্যায় নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।