ফেনীতে পুলিশ ম্যজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠানে মামলার জব্দ তালিকা ও এজাহারের মধ্যে যথাযথ মিল রেখে প্রস্তুত ও সাক্ষীদের যথা সময়ে উপস্থিতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এজাহারের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে জব্দ তালিকা প্রস্তুত না হলে মামলাটি দুর্বল হয়ে যায়। জব্দ তালিকার সাথে মামলার এজহারের মিল না থাকলেও আসামীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। এছাড়া যথা সময় সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারায় মামলার দীর্ঘসুত্রিতা তৈরি হয়।
মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফেনী জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ এএসএম রুহুল ইমরান।
ফেনী আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আতাউল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনীতে ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল রাকিবুল হাসান, র্যাব–৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমানের সঞ্চালনায় সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। তিনি বলেন, জব্দ তালিকা যথাযথ ভাবে প্রস্তুত না হলে এবং জব্দ তালিকার সাথে এজহারের মিল না থাকলে ওই মামলার আসামীরা সহজেই ছাড় পেয়ে যায়।
আদালতের সরকারি কৌশলী হাফেজ জানান, চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী না দেয়ায় কয়েকটি আলোচিত হত্যা মামলায় রায় প্রদানে দীর্ঘ সুত্রিতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এসব মামলার সাক্ষীদের দ্রুত আদালতে উপস্থিত করানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ এএসএম রুহুল ইমরান বলেন, মামলার দীর্ঘ সুত্রিতা অবশ্যই কমাতে হবে৷ মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের যথা সময়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে উপস্থিত করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ