ফেনীতে দিনভর রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষে জানা গেলো নিছক গুজব। অন্য জেলার ভিডিও ফুটেজ ফেনীর বলে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজবটি ছড়ান।
সূত্রে জানা গেছে, শরিয়তপুর জেলায় রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়ার ঘটনাকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ঘটনা বলে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেইজে গুজব ছড়ানো হয়।
এতে ওই এলাকাসহ পুরো ফেনী জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায় সোনাপুর গ্রামের রাসেল ভাইপার পাওয়ার তথ্য সঠিক নয়। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললো তারা বলে এটা গুজব। অন্য জায়গার ঘটনা ফেনীর বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এনামুল হক নামে একজন ফেসবুক কমেন্টে লিখেন, আমরা বাঙালিরা কিছু পারি আর না পারি, ফেসবুক যেহেতু তাহলে লিখতে সমস্যা কোথায়, সত্যি মিথ্যা যাচাই করি না।
ইয়াসির আরাফাত রুবেল নামে একজন ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেন, হাওয়া থেকে পাওয়া তথ্য সঠিক নয়। গুজবে কান দিবেন না।
এ বি কামরুল লিখেন, সত্যতা ছাড়া ভুয়া নিউজ এ আমরা আতংকিত নই। এসব আতংক কৃষি শ্রমিকদের দাম বাড়িয়ে দেয়, কাজের লোক পাওয়া যায় না। আমরা যারা গ্রামে থাকি, কৃষি নির্ভর পরিবার, আমরা হবো এই আতংকের চরম ভুক্তভোগী।
মজিবুল হক নামে একজন লিখেন, ফেনী জেলার সকল কৃষি–কৃষকরা সাবধান। প্রায় প্রত্যেকটা ধানের জমিতে রাসেল ভাইপার পাওয়া যাচ্ছে! এই সাপ কামড় দেওয়ার ৮০–৯০ মিনিটের মধ্যে এন্টিভেনম না দিলে মৃত্যু নিশ্চিত। ধান কাটার আগের দিন জমিতে ব্লিচিং বা গামবুট ছড়িয়ে দিবেন। আর জমিতে যাওয়ার আগে গামবুট পরে যাবেন। আর রাসেল ভাইপার পাওয়া গেলে রেস্কিউ না করে মেরে ফেলা উত্তম। কারণ এরা একেবারে ৪০/৫০ টা বাচ্চা প্রসব করে বংশ বিস্তার করে! সবাই আশেপাশের কৃষকদের সচেতন করে দিবেন।
জানতে চাইলে পাঠান নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার জুয়েল বলেন, সোনাপুর গ্রামের রাসেল ভাইপার পাওয়ার তথ্য সঠিক নয়। আমি স্থানীয় মেম্বার সহ লোকজনের সাথে কথা বলেছি এটা গুজব। অন্য জায়গার ঘটনা ফেনীর বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফেনী সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকতা বাবুল ভৌমিক জানান, ছাগলনাইয়া রাসেল ভাইপার পাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। মূলত এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সাপ একটি নিরীহ প্রাণী। জীবন ঝুঁকিতে পড়লেই চোবল মেরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এই বন কর্মকর্তা।
আল/ মামুন / দীপ্ত সংবাদ