এইচএসসি পরীক্ষায় ফেনীতে ৪৮ দশমিক ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। জেলায় ১২টি কেন্দ্রে ৪২টি কলেজের ১০ হাজার ৩৫৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫ হাজার ৪৪ জন। ফেল করেছে ৫ হাজার ৩১০ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ২৪৪ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফল ঘোষণার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, জেলার এইচএসসিতে শতভাগ পাশ করেছে ১টি প্রতিষ্ঠান। জেলায় সর্বোচ্চ পাশের হার ফেনী সদর উপজেলায়। পাশের হার ৬০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সদরের ১৯টি কলেজ থেকে ৫ হাজার ৪১৮ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩ হাজার ২৮৫ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ২১৭ জন।
২য় স্থানে রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলা৷ পাশের হার ৪৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ উপজেলার ৬টি কলেজ হতে ১ হাজার ২০৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫৪৪ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৭ জন।
৩য় স্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা৷ পাশের হার ৩৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ উপজেলায় ৫টি কলেজ হতে ১ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৫১০ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৩ জন।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলা। পাশের হার ৩২ দশমিক ৫২ শতাংশ। উপজেলার ৩টি কলেজ হতে ৭৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৩৯ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৩ জন।
৫ম স্থানে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলা। পাশের হার ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। উপজেলার ৫টি কলেজ হতে ৭৫৮ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২০৯ জন। জিপিএ –৫ পেয়েছে ১ জন।
জেলায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সোনাগাজী উপজেলা। পাশের হার ২৭ দশমিক ২ শতাংশ। উপজেলার ৪টি কলেজ হতে ৯৫১ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৫৭ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৩ জন।
জেলায় বরাবরের মতো শতভাগ জিপিএ–৫ পেয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ–৫ পেয়েছে।
জানা গেছে, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালের ৭ জুন থেকে এ কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিগত বছরগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ক্যাডেটরা অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে। সাফল্যের অগ্রযাত্রায় এ কলেজের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বদরুন নাহার জানান, সেনাসদরের দিক নির্দেশনা, ক্যাডেটদের প্রচেষ্টা, প্রশিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিক পাঠদান, বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রদান ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ক্যাডেটদের এই ভালো ফলাফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা একইসাথে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে বলে আমি মনে করি। এ ফলাফলের জন্য আমি সকল পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও কলেজের প্রত্যেক সদস্যকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
আল–মামুন