সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি পরিশোধনের পর সাগরে উন্মুক্ত করা শুরু করেছে জাপান। তাদের দাবি, আইএইএ‘র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এর বিরোধিতা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা বেজে ৩ মিনিট থেকে (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা বেজে ৩ মিনিট থেকে) সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি।
২০১১ সালের ১১ মার্চ ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামিতে পানি উঠে যায় জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি চুল্লি।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন তেজস্ক্রিয় পানি জমেছে সেখানে। যা দিয়ে ৫০০টি অলিম্পিক সুইমিং পুল পূর্ণ করা যায়। এক দশকের বেশি সময় ধরে পানি জমতে থাকায় মজুদের জায়গা সীমিত হয়ে আসছে।
জাপান সরকার জানিয়েছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।
কিন্তু স্থানীয়রা, বিশেষ করে মৎস্যজীবীরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তারা মনে করছেন, তাদের জীবিকার ওপর এই তেজস্ক্রিয় পানি প্রভাব ফেলবে। পার্শ্ববর্তী দেশ চীন এ কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রিটিয়াম পানি থেকে আলাদা করা খুব কঠিন এবং এর মাত্রা বেশি থাকলে তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, পানি পরিশোধন করে ৬০টির বেশি তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে পানিকে পুরোপুরি তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত করা সম্ভব নয়।
তেজস্ক্রিয় পানিশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন পরিবেশবাদী গোষ্ঠী গ্রিনপিসের কর্মীরা। জাতিসংঘ–নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও এই কর্মসূচির বিরোধিতা করেছেন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ