গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিল কানাডা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে দেশটি। বুধবার (৩০ জুলাই) এক ঘোষণায় এই সিদ্ধান্ত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
তবে এ স্বীকৃতির পেছনে কিছু শর্তও রেখেছে অটোয়া। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যতে হামাস কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না,
২. হামাস কোনো নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না,
৩. ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ বেসামরিক রাখতে হবে, অর্থাৎ কোনো সেনাবাহিনী রাখা যাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব শর্ত ফিলিস্তিনের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্যকে সীমিত করতে পারে।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪২টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে অথবা সেই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশ—নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ইতোমধ্যে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে ফরাসি নেতৃত্বে গঠিত একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৫টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো—ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, সান মারিনো, অ্যান্ডোরা এবং স্পেন।
এই বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তে দুটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হবে। গাজা ও পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে একীভূত করাও এতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতিগুলোর প্রশংসা করা হয়, যেখানে তিনি হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, বন্দিদের অর্থপ্রদান বন্ধ, শিক্ষা সংস্কার এবং এক বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন।