নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত তরুণীর নাম, রহিমা আক্তার সুমি (১৯)। সে চাটখিল উপজেলার উত্তর রামনারায়ণপুর এলাকার মো.ইসমাইল হোসেনের মেয়ে এবং কুমিল্লার মুরাদ নগরের বাসিন্দা মো.ইউছুফ মোয়াজ্জিনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সেনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গনি মাস্টার পোল সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসার শৌচাগার থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণীর বড় ভাই আরাফাত জানায়, গত ৫ মাস আগে সুমি প্রেম করে বিয়ে করে কুমিল্লার মুরাদ নগরের ইউছুফ নামে এক মোয়াজ্জিনকে । ২ দিন যাবত সুমির ফোন বন্ধ ছিল। যোগাযোগ না থাকায় বড় ভাই আরাফাত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাইমুড়ীতে সুমির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলানো। ঘরের ভেতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তার পর বাড়ির মালিকের সহায়তায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বসত ঘরের শৌচাগার থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। গত ৩ অক্টোবর তাহাদের পরিবারের সাথে সর্বশেষ ভিকটিমের যোগাযোগ হয়। ধারণা করা হচ্ছে ওই দিন ই রাত যে কোন সময় হত্যা কান্ড সংঘটিত করে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের কারনে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ