প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন চীনের নাগরিক ওয়াং থাও (৩৫)। শুক্রবার বাংলাদেশে এলে প্রেমিকা সুমরা (১৯) তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
ওয়াং থাও চীনের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা আর বাংলাদেশি তরুণী সুমরা (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়ার তাহের আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তার। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চীনা যুবক ওয়াং তাও ওয়াং ইচাং চাও এর ছেলে। চীনা হোয়ানান প্রদেশে তার বাড়ি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনা যুবককে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে সুরমার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ ও সুরমার পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গেছে, গত দেড় মাস আগে ওয়াল টক একটি অ্যাপসের মাধ্যমে সুরমা এবং ওই চীনা যুবকের পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতির মাধ্যমে তাদের বিয়ের বিষয়ে ঐক্যমত্য হলে চীনা যুবক বাংলাদেশ–চীনের দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে আসেন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে বিপুল সংখ্যক মানুষ চীনা যুবককে দেখতে সুরমার বাড়িতে ভিড় জমান।
সুরমা আক্তারের মা নুরেনা জানান, মেয়ের ভালোবাসা পেতে চীন থেকে সেই যুবক চলে এসেছে। ওই যুবক কোনো ধর্মই বিশ্বাস করে না। মেয়েকে বিয়ে করতে প্রয়োজনে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে। রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে মুসলিম রীতি মেনে সুরমাকে বিয়ে করবে চীনা যুবক।