চট্টগ্রামের চুনতিতে ঈদের দুদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাসনিম ইসলাম প্রেমা চট্টগ্রাম মেডিকলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১২ টায় আইসিইউতে মারা যান তিনি। প্রেমা মারা যাওয়ার পর মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় তার পরিবারের আরও পাঁচজনসহ মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন।
স্বজনরা জানান, নিহত প্রেমা ঢাকা কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বয়স হয়েছিলো ১৮ বছর। তারা এমন ঘটনায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাক, চালকের গাফিলতি ও সড়ক বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেন।
নিহতের মামা রবিউল ইসলাম জানান, প্রেমা ও তার পরিবার গত ২ তারিখ গভীর রাতে একটি কালো মাইক্রোবাস করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রামের চুনতির জাঙ্গালিয়া এলাকার ঝুকিপূর্ণ একটি বাঁকে আসলে রিলাক্স পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ঘ হয়। এতে পুরোপুরি দুমড়ে–মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। মারা যান প্রেমার বাবা শামীম ফকির, মা সুমি আক্তার, ছোট দুই বোন আনিসা ও এলিনা, ও ফুফাতো বোন তানু মারা যায়।
চিকিৎসকরা জানান, প্রেমার মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাত ছিলো। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও ঠিক সময়ে হাসপাতালে আনতে না পারায় অবস্থা সংকটাপন্ন হয়।
রুনা আনসারী/এজে/দীপ্ত সংবাদ