শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আগরতলা দূতাবাসে গভীর শ্রদ্ধায় ভাষাশহীদদের স্মরণ

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
8 minutes read

গভীর শ্রদ্ধা ও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করেছে আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুই পর্বে অনুষ্ঠান আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে ১ম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় ভাষাশহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।

সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর ২য পর্বে ত্রিপুরা সরকার ও বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, আগরতলা’র যৌথ উদ্যোগে সকাল ৭টায় প্রভাতফেরি ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আগরতলার টাউন হল ভবন প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তাকর্মচারী, ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষা দফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের পদস্থ কর্মকর্তাকর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও স্বেচ্ছাসেবকসহ ৩ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে টাউন হল ভবনের সামনে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে যৌথভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের পক্ষে সহকারী হাইকমিশনার এবং ত্রিপুরা সরকারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উক্ত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল সাড়ে ৯টায় টাউন হল ভবনে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব শ্রী রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, সম্মানীয় অতিথি ছিলেন আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মধ্যশিক্ষা অধিকারের অধিকর্তা শ্রী এন. সি. শর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধিকর্তা শ্রী বিম্বিসার ভট্টাচার্য প্রমুখ।

রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় থেকে আসা ৫০০ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা ভাষা শহীদদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার বক্তব্যে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউলসহ ভাষা শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাসহ ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির পিছনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তিনি ত্রিপুরা সরকারকে যৌথভাবে এ আয়োজনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা তার বক্তব্যে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বের বাংলা ভাষী মানুষের জন্য একটি গৌরবময় দিন। তিনি ভাষা আন্দোলনের সব অবদানকারীকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করাসহ এ বছর ইউনেস্কো প্রদত্ত থিম তথা বহু ভাষার শিক্ষার ওপর আলোকপাত করেন।

এরপর রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্রছাত্রী এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন ভাষাভাষী ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীসহ অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত দর্শকদের নজর কাড়ে।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More