প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে ঈদের কেনাকাটা সবসময়ের মতো এবারও বেশ আগে থেকেই হয়ে ওঠে সরগরম। পুরো নগরী যেন হয়ে ওঠে আস্ত এক ঈদ বাজার। বিশেষ করে ইফতারের আগে বিকেলে ও রাতে তারাবির নামাজের পরই জমে উঠে সিলেটের ঈদবাজার। দিনে গরম ও ব্যস্ততার কারণে রাতের কেনাকাটাকে স্বস্তিদায়ক মনে করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ছুটির দিন হওয়ায় সিলেট নগরীর সব মার্কেট খোলা ছিলো। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো অন্যদিনের চেয়ে বেশি। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তাই মার্কেটগুলোকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
নগরীর ব্লুওয়াটার শপিং সিটি, শুকরিয়া, সিটি সেন্টার ও আলহামরা মধুবন মার্কেট, হাসান মার্কেটসহ সবকটি শপিং সিটিতে ভিড় ছিল দেখার মতো। ঈদের পোশাকের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে গণ্য হয় জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া এলাকার মার্কেটগুলো।
সিলেটের ঈদের কেনাকাটা নিয়ে জিন্দাবাজার ব্লু—ওয়াটার শপিং সিটির জিএম– মলয় দত্ত মিঠু জানান, ঈদের এখনো ১৫ দিন বাকি আছে। এরই মধ্যে ব্যবসা জমে উঠেছে। সবগুলো দোকানে নতুন পোশাকের পসরা। শুধু পোশাক নয়, নারী পুরুষ, শিশু–কিশোরদের থেকে শুরু করে তরুণ–তরুণী সব বয়সী মানুষকে মাথায় রেখে দোকানগুলোর প্রস্তুতি বিন্যাস হয়েছে। নতুন ডিজাইনের গহনা, কসমেটিকস, থ্রি পিস, টিশার্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি মন কেড়েছে ক্রেতাদের।
বাজারে নানা ধরনের পোশাক থাকলেও এবার অতিরিক্ত গরমের কারণে দেশি ও ভারতীয় সুতি পোশাকের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি অন্যান্য পোশাকের চাহিদাও রয়েছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আবু তাহের শোয়েব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কিছুটা অস্বস্থিতে থাকলেও ঈদের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করেন নেন ঠিকই। বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুসিত অঞ্চল সিলেটে ইতোমধ্যে রেমিটেন্স আসা শুরু হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ব্যবসা এবার ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু ক্রেতার চাপে রাতে নগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া ও নাইওরপুল এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ৯টার পর নগরের প্রধান সড়কগুলোতে যেন যানবাহনগুলো আর চলে না। আর সড়কের পাশ দিয়ে মানুষ ছুটছে মিছিলের মতো। এসব মানুষের প্রায় সকলের হাতেই শপিং ব্যাগ।
আফ/দীপ্ত সংবাদ